শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দুই কনস্টেবলের কান্ড!

রাজশাহীতে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দুই কনস্টেবলের কান্ড!

রাজশাহীতে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দুই কনস্টেবলের কান্ড!
রাজশাহীতে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দুই কনস্টেবলের কান্ড!

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীর মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দুই কনস্টেবল কারণ ছাড়ায় শ্রাবণ (১৩) নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শ্রাবণ জানায়, তালাইমারীতে এসেছিলো পুরি আর পিয়াজু খাওয়ার জন্য। কিন্তু পুরি পিয়াজু না পেয়ে পায়ে হেটেঁ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় সে।

বাবা মার সাথে আহত শ্রাবণ

পথে মতিহার থানাধিন তালাইমারী বিজিবি ক্যাম্পের পাশে দুই পুলিশ কনস্টেবল তাকে গতিরোধ। প্রশ্ন করে কোথায় গিয়েছিলি। উত্তরে কিশোর বলে তালাইমারী গিয়েছিলাম নাস্তা খেতে, এখন বাড়ি যাচ্ছি।

এরপর আর কোন কথা নাই তুলে মাটিতে আছাড় মারে কিশোরকে। গলা চেপে ধরা হয়। সেই সাথে চড়-থাপ্পর তো ছিলোই। আর তার সাথের কন্সটেবল সুমন তাকে ধমক দেয়।

হতভম্ব কিশোর শ্রাবণ! সে জানে না তাকে কেন মারধর করা হলো। শ্রাবনের বাড়ি নগরীর মতিহার থানাধিন কাজলা ফুলতলা এলাকায়। তার বাবার নাম নূর মিয়া দুখু। পেশায় সে একজন বার্নিশ কারিগর।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধিন তালাইমারী বিজিবি ক্যাম্পের পাশের রাস্তায়।

স্থানীয়রা জানায়, বোয়ালিয়া থানাধিন মালোপাড়া ফাঁড়ির কনস্টেবল সুমন ও ইসরাফিল শ্রাবন নামের কিশোরকে মারধর করে। কিন্তু স্থানটি মতিহার থানাধিন বাজে কাজলা। এই ধরনের নির্যাতনে ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা। তারা জানায়, সরকারী লোক প্রতিবাদ করলেই সমস্যা। তাই তারা কিশোর শ্রাবনকে শান্তনা দিয়ে বাড়ি পাঠায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তালাইমারী পাওয়ার হাউজপাড়া এলাকার গৃহবধূ রুমি জানান, হাদিড় মোড় নদীর ধার এলাকার জীবন ও সবুজ মালোপাড়া ফাঁড়ির কনস্টেবল সুমন ও ইসরাফিলের সোর্স।

তারা কাজলা এলাকায় মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে লেনদেনের মাধ্যমে রফাদফা করে। কিন্তু সোর্স জীবনের নিজ শাশুড়ি পলি। সে ওই এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক কারবারী তা বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। তবুও তাকে পুলিশ তাকে ধরে না। ধরে শুধু সেবনকারীদের। গৃহবধূ আরো জানায়, এর আগেও কাজলা এলাকা থেকে শাহীনের ছেলে তানভীর (১৬) নামের এক যুবককে আটকায়।

পরে তাদের দাবি পূরুনে ব্যর্থ হলে এই দুই কনস্টেবল ওই কিশোরকে হেরোইনের মামলা দেয়। এছাড়াও প্রায়ই মাদকাশক্তদের ধরে টাকা নেয় বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে মালোপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইফতেখায়ের বলেন, বিএনপির সমাবেশে ডিউটি ছিলো। তাই ফাঁড়ির কোন খবর জানা নেই। তবে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply